ডিম সকলের খুব প্রিয় খাবার। কেউ ভাজা ডিম পছন্দ করে আবার কেউ সেদ্ধ করে খেতে পছন্দ করে। ডিম স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারী, কিন্তু বর্তমানে বাজারে নকল ডিম বের হয়েছে যা স্বাস্থের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
চায়নায় বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা চচ্ছে এই ডিম।
আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনার কেনা ডিমটি আসল ডিম নাকি নকল ডিম? আসুন আমরা জানি এবং সচেতন হই। এই কৃত্রিম ডিমটিকে অনেকে বলেন – ফেক ডিম, প্লাস্টিক ডিম, কেমিক্যাল ডিম, চায়না ডিম ইত্যাদি।
আসুন, প্রথমে আমরা জানি যে, একটা ডিমের কয়টা অংশ থাকে। একটা ডিমের তিনটি অংশ-ডিমের খোসা, ডিমের সাদা অংশ, ডিমের কুসুম। এই তিনটি অংশ হুবুহু তৈরি করা যাচ্ছে কেমিক্যাল দিয়ে।
সাধারণতঃ কৃত্রিম ডিমের খোসাটি তৈরি করা হয় ক্যালসিয়াম কারবনেট দিয়ে, ডিমের হলুদ ও সাদা অংশের মুল উপাদান সোডিয়াম এলজিনেট, এলাম, গিলেটিন এবং খাদ্য লবন এবং ডিমের কুসুমের কালারের জন্য কমলা হলুদ ফুড কালার।
কিভাবে তৈরি করা হয় কৃত্রিম ডিমঃ
প্রথমে গরম পানির সাথে সোডিয়াম এলজিনেট কে মিশ্রিত করে তার সাথে গিলেটিন, এলাম ও অন্যান্য উপাদান ভাল ভাবে মিশ্রিত করা হয় যাতে ডিমের সাদা অংশের মত দেখায়।
অতঃপর, ডিমের কুসুম তৈরির জন্য অন্য পাত্রে কিছু মিশ্রন নিয়ে তাতে কমলা হলুদ রঙ মেশানো হয়।
অতঃপর, ডিমের কুসুম তৈরির জন্য অন্য পাত্রে কিছু মিশ্রন নিয়ে তাতে কমলা হলুদ রঙ মেশানো হয়।
তারপরে, এই মিশ্রণকে ছাঁচে ঢালা হয় যাতে কুসুম সদৃশ কোন কিছু তৈরি হয়, এবং এই কুসুমকে অন্য পাত্রে রাখা ক্যালসিয়াম ক্লোরাইডের দ্রবনে ডুবানো হয়। এর ফলে, ডিমের চার পাশে একটি পাতলা পর্দা তৈরি হয়।অতঃপর, এটাকে প্যারাফিন ওয়াক্স, জিপসাম পাওডার, ও ক্যালসিয়াম কারবনেটের মিশ্রণে ডুবানো হয় যাতে ডিমের খোসা তৈরি হয় ব্যাস, তৈরি হয়ে গেল কৃত্রিম ডিম।
কিভাবে চেক করবেন যে আপনার কেনা ডিমটি কৃত্রিম কিনা?
১. আপনি যখন একটি কৃত্রিম ডিমকে ভাঙবেন তখন দেখবেন যে ডিমের সাদা অংশ ও কুসুম খুব দ্রুত এক সাথে মিশে যাচ্ছে, কারন, দুটো একি উপাদানে তৈরি,শুধু রংটা ভিন্ন।
২. কৃত্রিম ডিমের খোসাটা আসল ডিমের চাইতে কিছুটা আকর্ষণীয়। সাধারনভাবে ধরাটা কিছুটা কঠিন।
৩. কৃত্রিম ডিমটা হাত দিয়ে স্পর্শ করলে কিছুটা অমসৃণ মনে হবে।
৫. আসল ডিমের গা থেকে কিছুটা কাচা মাংসের গন্ধ পাওয়া গেলেও কৃত্রিম ডিমে তা পাওয়া যায় না।
৬. কৃত্রিম ডিম ভাঁজলে কুসুমটা সাদা অংশের সাথে সহজে মিশে যেতে চায়।
নিজে সচেতন হোন এবং অবশ্যই পোস্টটি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে সকলকে সচেতন করুন।